The post অতিপ্রাকৃত গল্পসমগ্র-বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

The post তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র (প্রিমিয়াম লোকাল প্রিন্ট) appeared first on প্রিয় পাঠক.

প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন। কল্লোল গােষ্ঠি ও পত্রিকার একজন অগ্রগামী সদস্য ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিজের অন্তরকে চিনে সাহিত্যে কথা-মাধুর্যের সুরভী ছড়ান। মানবজীবনের বিশাল রূপ, উত্থান-পতন, ভাঙা-গড়া-নৈরাশ্যবাদ, চেতনাতন্ত্রের এক সুস্থির চিত্র যেন তাঁর প্রতিটি উপন্যাস। তবে নৈরাশ্যবাদকে ছাড়িয়ে অলােকের জগতে, স্বপ্নীল আভাযুক্ত জগতে প্রবেশ করান তাঁর প্রত্যেক পাঠককে। প্রখ্যাত সমালােচক ড. অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত গ্রন্থের (৫৬০ পৃ) বিভূতিভূষণ ও তাঁর কথা সাহিত্য সম্বন্ধে বলেন—“দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ইয়ােরােপীয় উপন্যাসের রচনারীতি ও আঙ্গিকগত কত বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে, তা পাঠক-পাঠিকা অবগত আছেন। সে দিক থেকে বিভূতিভূষণের উপন্যাস রচনার রীতিটি নতুন প্রকরণ বলেই অভিনন্দনের যােগ্য। চরিত্র, ঘটনা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, তাত্ত্বিক সংঘাত, সামাজিক প্রশ্ন,-তাঁর উপন্যাসে এসবের বিশেষ বাহুল্য নেই। আছে চেনা পৃথিবীর মধ্যে, পরিচিত মানুষের মধ্যে, দৈনন্দিক জীবন ধারণের মধ্যে, অচেনা অরূপ জগতের মধ্যে সৌন্দর্যময় ইঙ্গিত, রহস্যময় ব্যঞ্জনা। সে দিক থেকে বিভূতিভূষণ শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যেও বিশেষ স্থান অধিকার করবেন।”

The post পথের পাঁচালী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

‘অপরাজিত’ সাময়িকপত্রে মুদ্রণের আগে লেখকের পরিকল্পিত নাম ছিল ‘আলোর সারথি’, কিন্তু ‘প্রবাসী’ তে ছাপানোর সময়েই শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘অপরাজিত’ রেখেছিলেন।

‘পথের পাঁচালী’ র অপু-কাহিনীরই সম্প্রসারণ ‘অপরাজিত’। পরে কোন এক সময়ে অপুর সন্তান কাজলকে নিয়ে উপন্যাস রচনার ইচ্ছা তার মনে ছিল। ‘তৃণাঙ্কুর’ দিনলিপিতে তিনি লিখেছেনঃ

“অপুকে জন্ম থেকে ৩৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত আমি কলমের ডগায় সৃষ্টি করেচি। তাকে ছাড়তে সত্যিকার বেদনা অনুভব করচি-তবে সে ছিল অনেকখানিই আমার নিজের সঙ্গে জড়ানো, সেইজন্যে বেশি কষ্ট হচ্ছে বিদায় দিতে কাজলকে, লীলাকে, দুর্গাকে, রাণূদি’কে-এরা সত্য সত্যই কল্পনাসৃষ্ট প্রাণী। কোনোদিকে এদের কোনো ভিত্তি নেই এক আমার কল্পনা ছাড়া।“

কিন্তু, কাজলকে নিয়ে কাহিনীসৃষ্টির পূর্বেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান। তার একমাত্র পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অপু-কাহিনীর তৃতীয় খণ্ড হিসেবে বহু পরে ‘কাজল’ রচনা করেন। ‘কাজল কেন লিখব, শিরোনামে একটি রচনা বিভূতিভূষণ মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে ‘কথাসাহিত্য’ পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন এবং ঐ কাগজেই ১৩৫৭-র পৌষ সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভেবে ‘কাজল’ প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। এ থেকে তার যে অভিপ্রায় ধরা পরে পিতার সেই অতৃপ্ত বাসনা পুত্র চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছিলেন, সন্দেহ নেই।

The post অপরাজিত – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

The post তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র appeared first on প্রিয় পাঠক.

The post আদর্শ হিন্দু হােটেল – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন। কল্লোল গােষ্ঠি ও পত্রিকার একজন অগ্রগামী সদস্য ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি নিজের অন্তরকে চিনে সাহিত্যে কথা-মাধুর্যের সুরভী ছড়ান। মানবজীবনের বিশাল রূপ, উত্থান-পতন, ভাঙা-গড়া-নৈরাশ্যবাদ, চেতনাতন্ত্রের এক সুস্থির চিত্র যেন তাঁর প্রতিটি উপন্যাস। তবে নৈরাশ্যবাদকে ছাড়িয়ে অলােকের জগতে, স্বপ্নীল আভাযুক্ত জগতে প্রবেশ করান তাঁর প্রত্যেক পাঠককে। প্রখ্যাত সমালােচক ড. অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাংলা সাহিত্যের সম্পূর্ণ ইতিবৃত্ত গ্রন্থের (৫৬০ পৃ) বিভূতিভূষণ ও তাঁর কথা সাহিত্য সম্বন্ধে বলেন—“দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর ইয়ােরােপীয় উপন্যাসের রচনারীতি ও আঙ্গিকগত কত বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে, তা পাঠক-পাঠিকা অবগত আছেন। সে দিক থেকে বিভূতিভূষণের উপন্যাস রচনার রীতিটি নতুন প্রকরণ বলেই অভিনন্দনের যােগ্য। চরিত্র, ঘটনা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, তাত্ত্বিক সংঘাত, সামাজিক প্রশ্ন,-তাঁর উপন্যাসে এসবের বিশেষ বাহুল্য নেই। আছে চেনা পৃথিবীর মধ্যে, পরিচিত মানুষের মধ্যে, দৈনন্দিক জীবন ধারণের মধ্যে, অচেনা অরূপ জগতের মধ্যে সৌন্দর্যময় ইঙ্গিত, রহস্যময় ব্যঞ্জনা। সে দিক থেকে বিভূতিভূষণ শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যেও বিশেষ স্থান অধিকার করবেন।”

The post পথের পাঁচালী – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

‘অপরাজিত’ সাময়িকপত্রে মুদ্রণের আগে লেখকের পরিকল্পিত নাম ছিল ‘আলোর সারথি’, কিন্তু ‘প্রবাসী’ তে ছাপানোর সময়েই শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘অপরাজিত’ রেখেছিলেন।

‘পথের পাঁচালী’ র অপু-কাহিনীরই সম্প্রসারণ ‘অপরাজিত’। পরে কোন এক সময়ে অপুর সন্তান কাজলকে নিয়ে উপন্যাস রচনার ইচ্ছা তার মনে ছিল। ‘তৃণাঙ্কুর’ দিনলিপিতে তিনি লিখেছেনঃ

“অপুকে জন্ম থেকে ৩৪ বৎসর বয়স পর্যন্ত আমি কলমের ডগায় সৃষ্টি করেচি। তাকে ছাড়তে সত্যিকার বেদনা অনুভব করচি-তবে সে ছিল অনেকখানিই আমার নিজের সঙ্গে জড়ানো, সেইজন্যে বেশি কষ্ট হচ্ছে বিদায় দিতে কাজলকে, লীলাকে, দুর্গাকে, রাণূদি’কে-এরা সত্য সত্যই কল্পনাসৃষ্ট প্রাণী। কোনোদিকে এদের কোনো ভিত্তি নেই এক আমার কল্পনা ছাড়া।“

কিন্তু, কাজলকে নিয়ে কাহিনীসৃষ্টির পূর্বেই বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় মারা যান। তার একমাত্র পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অপু-কাহিনীর তৃতীয় খণ্ড হিসেবে বহু পরে ‘কাজল’ রচনা করেন। ‘কাজল কেন লিখব, শিরোনামে একটি রচনা বিভূতিভূষণ মৃত্যুর কিছুকাল পূর্বে ‘কথাসাহিত্য’ পত্রিকায় প্রকাশ করেছিলেন এবং ঐ কাগজেই ১৩৫৭-র পৌষ সংখ্যা থেকে ধারাবাহিকভেবে ‘কাজল’ প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। এ থেকে তার যে অভিপ্রায় ধরা পরে পিতার সেই অতৃপ্ত বাসনা পুত্র চরিতার্থ করার চেষ্টা করেছিলেন, সন্দেহ নেই।

The post অপরাজিত – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.

The post তারানাথ তান্ত্রিক সমগ্র appeared first on প্রিয় পাঠক.

The post আদর্শ হিন্দু হােটেল – বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় appeared first on প্রিয় পাঠক.