মুক্তিযুদ্ধ Archives - প্রিয় পাঠক https://priyopathok.com/product-category/মুক্তিযুদ্ধ/ Fri, 06 May 2022 10:32:22 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.3 https://priyopathok.com/wp-content/uploads/2022/04/cropped-Priyo-Pathok-PP-with-Shadow-32x32.png মুক্তিযুদ্ধ Archives - প্রিয় পাঠক https://priyopathok.com/product-category/মুক্তিযুদ্ধ/ 32 32 মূলধারা ৭১ https://priyopathok.com/product/%e0%a6%ae%e0%a7%82%e0%a6%b2%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a6%be-%e0%a7%ad%e0%a7%a7-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:54 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7839 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস রচনায় এই গ্রন্থ নিঃসন্দেহে মূল্যবান সংযোজন। লেখক মঈদুল হাসান একাত্তর সালের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পটভূমিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সকল মূল উপাদানকেই একত্রে তুলে ধরেছেন। এই সব উপাদানের সংঘাত ও সংমিশ্রণে কিভাবে সফল রণনীতির উদ্ভব ঘটেছিল সেই ইতিবৃত্ত এই বিবরণে রয়েছে। এগুলিকে তিনি হাজির করেছেন ঘটনাবিকাশের নিজস্ব ধারাবাহিকতায়, যতদূর সম্ভব নিরপেক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণসহ। এ ছাড়া অনেক ঘটনা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা তিনি প্রকাশ করেছেন, যেগুলির অনেক কিছুই আজও অপ্রকাশিত, অথচ যেগুলি ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির কোন সঙ্গত ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ জাতীয় বিবরণ সম্ভবত কেবল এই লেখকের পক্ষেই সম্ভব ছিল। কারণ প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এবং তাঁর পক্ষ থেকে ভারত সরকারের উচ্চতর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ব্যাপারে লেখক ছিলেন বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি। তাঁদের দু’জনার মাঝে যোগাযোগ ছিল ঘনিষ্ঠ ও নিয়মিত। মুক্তিযুদ্ধকালের অনেক ঘটনার জন্যই লেখক এক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

একাত্তর সালে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যা, বর্বরতা ও সন্ত্রাসের ফলে ভারতে আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে চলে। প্রথমদিকে প্রবাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে পরিস্থিতি ছিল বহুলাংশেই অসংগঠিত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে কর্মরত থাকার ফলে আমি এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত অবস্থা থেকে এই জাতির স্বাধীনতায় উত্তরণের জটিল প্রক্রিয়ায় কোন কোন দিক লক্ষ্য করার সুযোগ পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি,আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সকল ঘটনার কেন্দ্রে এবং অপরিসীম নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কিন্তু তাঁর নিজের ভূমিকা সম্পর্কে এই মিতভাষী মানুষটি প্রায় কিছুই বলে যাননি। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের অনেক খানিই আজও অনালোকিত। তার কোন কোন অংশে আলোকপাত করার ব্যাপারে মূলধারা:’৭১ সমর্থ হয়েছে বলে আমার ধারণা। তবে মঈদুল হাসান, সঙ্গত কারণেই সমগ্র বিষয়কে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে উপস্থিত করেছেন পর্যাপ্ত গবেষণা ও অপ্রকাশিত নানা দলিলপত্রের ভিত্তিতে ঘটনার নিরপেক্ষ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যেই।

ফারুক আজিজ খান

The post মূলধারা ৭১ appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস রচনায় এই গ্রন্থ নিঃসন্দেহে মূল্যবান সংযোজন। লেখক মঈদুল হাসান একাত্তর সালের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পটভূমিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক সকল মূল উপাদানকেই একত্রে তুলে ধরেছেন। এই সব উপাদানের সংঘাত ও সংমিশ্রণে কিভাবে সফল রণনীতির উদ্ভব ঘটেছিল সেই ইতিবৃত্ত এই বিবরণে রয়েছে। এগুলিকে তিনি হাজির করেছেন ঘটনাবিকাশের নিজস্ব ধারাবাহিকতায়, যতদূর সম্ভব নিরপেক্ষ সাক্ষ্য-প্রমাণসহ। এ ছাড়া অনেক ঘটনা ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা তিনি প্রকাশ করেছেন, যেগুলির অনেক কিছুই আজও অপ্রকাশিত, অথচ যেগুলি ছাড়া স্বাধীনতা যুদ্ধের গতিপ্রকৃতির কোন সঙ্গত ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ জাতীয় বিবরণ সম্ভবত কেবল এই লেখকের পক্ষেই সম্ভব ছিল। কারণ প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে এবং তাঁর পক্ষ থেকে ভারত সরকারের উচ্চতর নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ব্যাপারে লেখক ছিলেন বিশেষ আস্থাভাজন ব্যক্তি। তাঁদের দু’জনার মাঝে যোগাযোগ ছিল ঘনিষ্ঠ ও নিয়মিত। মুক্তিযুদ্ধকালের অনেক ঘটনার জন্যই লেখক এক নির্ভরযোগ্য সূত্র।

একাত্তর সালে পাকিস্তানী বাহিনীর হত্যা, বর্বরতা ও সন্ত্রাসের ফলে ভারতে আশ্রয়প্রার্থী মানুষের সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বেড়ে চলে। প্রথমদিকে প্রবাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে পরিস্থিতি ছিল বহুলাংশেই অসংগঠিত ও বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে কর্মরত থাকার ফলে আমি এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চিত অবস্থা থেকে এই জাতির স্বাধীনতায় উত্তরণের জটিল প্রক্রিয়ায় কোন কোন দিক লক্ষ্য করার সুযোগ পেয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি,আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের নয় মাসে তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন সকল ঘটনার কেন্দ্রে এবং অপরিসীম নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন। কিন্তু তাঁর নিজের ভূমিকা সম্পর্কে এই মিতভাষী মানুষটি প্রায় কিছুই বলে যাননি। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের অনেক খানিই আজও অনালোকিত। তার কোন কোন অংশে আলোকপাত করার ব্যাপারে মূলধারা:’৭১ সমর্থ হয়েছে বলে আমার ধারণা। তবে মঈদুল হাসান, সঙ্গত কারণেই সমগ্র বিষয়কে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে উপস্থিত করেছেন পর্যাপ্ত গবেষণা ও অপ্রকাশিত নানা দলিলপত্রের ভিত্তিতে ঘটনার নিরপেক্ষ উপস্থাপনের উদ্দেশ্যেই।

ফারুক আজিজ খান

The post মূলধারা ৭১ appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
ওঙ্কার https://priyopathok.com/product/%e0%a6%93%e0%a6%99%e0%a7%8d%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%b0-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:54 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7840 ওঙ্কার (১৯৭৫) আহমদ ছফার দ্বিতীয় উপন্যাস। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ওঙ্কারে একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে ধারণ করেছেন লেখক।

মূলত '৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের সামগ্রিক যে চিত্র, ওঙ্কার তার সাহিত্য আকারে প্রকাশিত রূপ। ষাটের দশকের শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা আন্দোলনে গড়ে উঠা স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি চূড়ান্তভাবে প্রস্ফুটিত হয় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের হাত ধরে। সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমেছিল। রক্তের বহমান স্রোতধারা তাদের বিচলিত করতে পারেনি। নতুন ভোরের আশায় অনবরত গর্জন তুলেছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তর করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সমগ্র বাধা ঠেলে এগিয়ে যায় স্বপ্নবাজ বাঙালি।

The post ওঙ্কার appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
ওঙ্কার (১৯৭৫) আহমদ ছফার দ্বিতীয় উপন্যাস। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ওঙ্কারে একটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থির রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থাকে ধারণ করেছেন লেখক।

মূলত ‘৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানের সামগ্রিক যে চিত্র, ওঙ্কার তার সাহিত্য আকারে প্রকাশিত রূপ। ষাটের দশকের শিক্ষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা আন্দোলনে গড়ে উঠা স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি চূড়ান্তভাবে প্রস্ফুটিত হয় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের হাত ধরে। সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমেছিল। রক্তের বহমান স্রোতধারা তাদের বিচলিত করতে পারেনি। নতুন ভোরের আশায় অনবরত গর্জন তুলেছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তর করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। সমগ্র বাধা ঠেলে এগিয়ে যায় স্বপ্নবাজ বাঙালি।

The post ওঙ্কার appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
জোছনা ও জননীর গল্প https://priyopathok.com/product/%e0%a6%9c%e0%a7%8b%e0%a6%9b%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%93-%e0%a6%9c%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%97%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%aa-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:54 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7841 এ উপন্যাস বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের অকপট ভাষ্য-

একদিন হঠাৎ টের পেলাম অনেক সময় আমার হাতে নেই। সময় শেষ হয়ে গেছে। ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ আর লেখা হবে না। তখন আমি শুয়ে আছি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের একটা ট্রলিতে। যখন অচেতন হতে শুরু করেছি, তখন মনে হলো ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ তো লেখা হলো না। আমাকে যদি আর একবার পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয় আমি এই লেখাটি অবশ্যই শেষ করবো। দেশে ফিরে লেখায় হাত দিলাম। শরীর খুব দুর্বল। দিনে দুই-তিন পাতার বেশি লিখতে পারি না। এভাবেই লেখা শেষ করেছি। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি দেশমাতার ঋণ শোধ করার চেষ্টা করেছি। এ আনন্দের কোনো সীমা নেই।

উপন্যাসটির শেষ প্যারাটি এই রকম- "বাস্তবের সমাপ্তি এরকম ছিল না। নাইমুল কথা রাখে নি। সে ফিরে আসতে পারে নি তার স্ত্রীর কাছে। বাংলার বিশাল প্রান্তরে কোথাও তার কবর হয়েছে। কেউ জানে না কোথায়। এই দেশের ঠিকানাবিহীন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার কবরের মধ্যে তারটাও আছে। তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলার মাটি পরম আদরে তার বীর সন্তানকে ধারণ করেছে। জোছনার রাতে সে তার বীর সন্তানদের কবরে অপূর্ব নকশা তৈরি করে। গভীর বেদনায় বলে, আহারে! আহারে!"

The post জোছনা ও জননীর গল্প appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
এ উপন্যাস বিষয়ে হুমায়ূন আহমেদের অকপট ভাষ্য-

একদিন হঠাৎ টের পেলাম অনেক সময় আমার হাতে নেই। সময় শেষ হয়ে গেছে। ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ আর লেখা হবে না। তখন আমি শুয়ে আছি সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটালের একটা ট্রলিতে। যখন অচেতন হতে শুরু করেছি, তখন মনে হলো ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ তো লেখা হলো না। আমাকে যদি আর একবার পৃথিবীতে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হয় আমি এই লেখাটি অবশ্যই শেষ করবো। দেশে ফিরে লেখায় হাত দিলাম। শরীর খুব দুর্বল। দিনে দুই-তিন পাতার বেশি লিখতে পারি না। এভাবেই লেখা শেষ করেছি। এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, আমি দেশমাতার ঋণ শোধ করার চেষ্টা করেছি। এ আনন্দের কোনো সীমা নেই।

উপন্যাসটির শেষ প্যারাটি এই রকম- “বাস্তবের সমাপ্তি এরকম ছিল না। নাইমুল কথা রাখে নি। সে ফিরে আসতে পারে নি তার স্ত্রীর কাছে। বাংলার বিশাল প্রান্তরে কোথাও তার কবর হয়েছে। কেউ জানে না কোথায়। এই দেশের ঠিকানাবিহীন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধার কবরের মধ্যে তারটাও আছে। তাতে কিছু যায় আসে না। বাংলার মাটি পরম আদরে তার বীর সন্তানকে ধারণ করেছে। জোছনার রাতে সে তার বীর সন্তানদের কবরে অপূর্ব নকশা তৈরি করে। গভীর বেদনায় বলে, আহারে! আহারে!”

The post জোছনা ও জননীর গল্প appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
আমি বিজয় দেখেছি https://priyopathok.com/product/%e0%a6%86%e0%a6%ae%e0%a6%bf-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%9f-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%96%e0%a7%87%e0%a6%9b%e0%a6%bf-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7832 এম আর আখতার মুকুলের লেখা ‘আমি বিজয় দেখেছি’ মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বইটি সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান স্যার লিখেছেন “এই বই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে নিজেদের ইতহাসের সবচেয়ে গৌরবময় পর্বের দিনগুলিকে। সহস্র প্রতিকূলতার মুখেও সেদিন বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ও আদর্শ, প্রেম ও সংকল্প, ধৈর্য ও প্রত্যয়, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ বিজয় লাভ করেছিল। লেখকের সৌভাগ্য, সেই বিজয় তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য, প্রত্যক্ষদর্শীর সেই বিবরণ তিনি রচনা করেছেন।“

The post আমি বিজয় দেখেছি appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
এম আর আখতার মুকুলের লেখা ‘আমি বিজয় দেখেছি’ মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। বইটি সম্পর্কে ড. আনিসুজ্জামান স্যার লিখেছেন “এই বই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেবে নিজেদের ইতহাসের সবচেয়ে গৌরবময় পর্বের দিনগুলিকে। সহস্র প্রতিকূলতার মুখেও সেদিন বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ও আদর্শ, প্রেম ও সংকল্প, ধৈর্য ও প্রত্যয়, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ বিজয় লাভ করেছিল। লেখকের সৌভাগ্য, সেই বিজয় তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন। আমাদের সৌভাগ্য, প্রত্যক্ষদর্শীর সেই বিবরণ তিনি রচনা করেছেন।”

The post আমি বিজয় দেখেছি appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে https://priyopathok.com/product/%e0%a6%b2%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%b7-%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%a3%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%ae%e0%a7%9f%e0%a7%87-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7833 ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার বর্ণনায় সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক দলিল। গ্রন্থে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের অনিশ্চিত, দুঃস্বপ্নের ন’মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধসমূহের বিবরণ স্থান পেয়েছে, অন্যদিকে বর্ণিত হয়েছে বাঙালি হত্যায় উন্মত্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতার বিবরণ : ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম একদিকে যেমন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছেন প্রতি মুহূর্তে; তেমনি গভীরভাবে অনুভব করেছেন এ যুদ্ধের নৃশংসতা, ভয়াবহতা, সাধারণ মানুষের বেদনার্ত আহাজারি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এ গ্রন্থে।

গ্রন্থকার মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা, অস্পষ্ট দিকগুলো ভাস্বর করে তুলেছেন নির্ভয়ে, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। ঘটনার বর্ণনার সাথে ঘটনার যথার্থতা ও সত্যতা সম্পর্কে তিনি সচেতন, সত্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ থেকেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস বিকৃত, অস্পষ্ট ও ঝাপসা হয়ে যাওয়ার পূর্বেই মুক্তিযুদ্ধের এক অগ্রনী সৈনিকের সচেতন প্রয়াসে রচিত এই গ্রন্থ মহান মুক্তিসংগ্রামের এক বিশ্বস্ত দলিল।

The post লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার বর্ণনায় সমৃদ্ধ এক ঐতিহাসিক দলিল। গ্রন্থে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের অনিশ্চিত, দুঃস্বপ্নের ন’মাসের রক্তাক্ত যুদ্ধসমূহের বিবরণ স্থান পেয়েছে, অন্যদিকে বর্ণিত হয়েছে বাঙালি হত্যায় উন্মত্ত পাকিস্তানি সৈন্যদের নৃশংসতার বিবরণ : ১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘ ন’মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করতে গিয়ে রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম একদিকে যেমন যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি প্রত্যক্ষ করেছেন প্রতি মুহূর্তে; তেমনি গভীরভাবে অনুভব করেছেন এ যুদ্ধের নৃশংসতা, ভয়াবহতা, সাধারণ মানুষের বেদনার্ত আহাজারি। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এ গ্রন্থে।

গ্রন্থকার মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা, অস্পষ্ট দিকগুলো ভাস্বর করে তুলেছেন নির্ভয়ে, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। ঘটনার বর্ণনার সাথে ঘটনার যথার্থতা ও সত্যতা সম্পর্কে তিনি সচেতন, সত্যনিষ্ঠ ও বস্তুনিষ্ঠ থেকেছেন।

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস বিকৃত, অস্পষ্ট ও ঝাপসা হয়ে যাওয়ার পূর্বেই মুক্তিযুদ্ধের এক অগ্রনী সৈনিকের সচেতন প্রয়াসে রচিত এই গ্রন্থ মহান মুক্তিসংগ্রামের এক বিশ্বস্ত দলিল।

The post লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
চিলেকোঠার সেপাই https://priyopathok.com/product/%e0%a6%9a%e0%a6%bf%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%a0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%aa%e0%a6%be%e0%a6%87-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7834 ১৯৬৯ সালের পূর্ব বাংলা। কী এক জীবনস্পর্ধী মন্ত্রের মুখে বিস্ফোরিত চারদিক। কেঁপে ওঠে নগর ঢাকা। কাঁপে শহর, বন্দর, গঞ্জ, নিভৃত গ্রাম, এমনকি যমুনার দুর্গম চর এলাকা। কখনো কঠিন বুলেটের আঘাতে, কখনো ঘুম-ভেঙ্গে-দেওয়া আঁধির ঝাপটায়। মিটিং আর মিছিল আর গুলিবর্ষণ আর কারফ্যু-ভাঙ্গা আর গণআদালত - সব জায়গায় ফেটে পড়ে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। সব মানুষেরই হৃদয়ের অভিষেক ঘটে একটি অবিচল লক্ষ্যে - মুক্তি।

The post চিলেকোঠার সেপাই appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
১৯৬৯ সালের পূর্ব বাংলা। কী এক জীবনস্পর্ধী মন্ত্রের মুখে বিস্ফোরিত চারদিক। কেঁপে ওঠে নগর ঢাকা। কাঁপে শহর, বন্দর, গঞ্জ, নিভৃত গ্রাম, এমনকি যমুনার দুর্গম চর এলাকা। কখনো কঠিন বুলেটের আঘাতে, কখনো ঘুম-ভেঙ্গে-দেওয়া আঁধির ঝাপটায়। মিটিং আর মিছিল আর গুলিবর্ষণ আর কারফ্যু-ভাঙ্গা আর গণআদালত – সব জায়গায় ফেটে পড়ে ক্ষোভ ও বিদ্রোহ। সব মানুষেরই হৃদয়ের অভিষেক ঘটে একটি অবিচল লক্ষ্যে – মুক্তি।

The post চিলেকোঠার সেপাই appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
একাত্তরের ডায়েরী https://priyopathok.com/product/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a1%e0%a6%be%e0%a7%9f%e0%a7%87%e0%a6%b0%e0%a7%80-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7835 কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন মনন ও সৃজনশীলতায় অগ্রগামী নারী। যে সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নিজের সহজাত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে সেই সময়কে অতিক্রম করেছিলেন এগিয়ে থাকা মানুষের শাণিত বোধে। যে বয়সে মানুষের বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয় সে বয়সে তাঁর সময়কে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানব কল্যাণের প্রয়োজনে। তাঁর রচিত ‘একাত্তরের ডায়েরী’ গ্রন্থ এই বিবেচনার সবটুকু প্রেরণা থেকে রচিত। ডায়েরির শুরু হয়ে ডিসেম্বর ৩০, ১৯৭০ তারিখে। শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। পুরো এক বছর সময়। তবে প্রতিদিনের প্রতিদিনের দিনলিপি নয়।মাঝে মাঝে কিন্তু কিছু তারিখ বাদ দিয়ে লিখেছেন।

১০৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। দুর্যোগে বিপর্যন্ত মানুষের হাতে রিলিফ সামগ্রী তুলে দিতে তিনি গিয়েছিলেন। পটুয়াখালির ধানখালি চর এলাকায়। রিলিফ দিয়ে ঢাকার ফিরলেন ৮ জানুয়ারি।

সত্তরের জলোচ্ছ্বোসের পরে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের সাধারন নির্বাচন। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ।পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান বাঙালি নেতার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করলেন। শেষ পর্যন্ত ১ মার্চ ১৯৭১ সালে গণপরিষদের অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। ১মার্চ, সোববার রাত দশটায় কবি লিখছেন, ‘বিক্ষুদ্ধ বাংলা।’ ভুট্ট্যো সাহেব পরিষদে যোগ দিবেন না সিন্ধান্তে পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি রইল। ১২টায় এ খবর প্রচারিত হওয়ায়, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। এভাবে বিভিন্ন তারিখে তিনি দেশের পরিস্থিতির কথা নানাভাবে বর্ণনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের দলিল হিসেবে এই ডায়েরির তথ গবেষণার উপাদান হিসেবে কাজ করবে।ডায়েরির একটি বিশেষ দিক এই যে কোনো কোনো তারিখে তিনি শুধু একটি কবিতা লিখেছেন। একজন কবি এভাবেই নিজের প্রকাশ ঘটান। এপ্রিল ১, বৃহস্পতিবার। রাত আটটায় তিনি লেখাটি শেষ করেছেন এভাবে : ‘কারফিউ চলছে। প্লেনের আসা-যাওয়ার বিরাম নেই। কাল থেকে নাকি ব্যাঙ্ক সব খোলা হবে। আট আনায় তিনটি পান কিনলাম। বাংলার ইতিহাস কে রচনা করবে?’ শেষের বাক্যটি অন্য বাক্যগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কিন্তু কোনোবাবেই এটি কোনো আকস্মিক বাক্য নয়।কারণ ২৫ শের রাতে গণহত্যার পরে শুরু হয়ে গেছে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হবে বাঙালির নতুন ইতিহাস। তিনি আহবান করছেন ইতিহাস রচয়িতাকে।এখানেই চিহ্নিত হয় তাঁর আগ্রগামী চিন্তার স্বরূপ। ডিসেম্বর ১৬, বৃহস্পতিবার লিখছেন, ‘আজ ১২ টায় বাংলাদেশ যুদ্ধ বিরতির পর মুক্তিফৌজ ঢাকার পথে পথে এসে আবার সোচ্চার হল ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণে। আল্লাহর কাছে শোকর।’

ডিসেম্বর ২৯ তারিখে একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি শুরু হয়েছে নিজের মেয়ের কথা দিয়ে লিখেছেন : ‘আমার ‘দুলু’র মুখ দেখি আজ বাংলার ঘরে ঘরে শ্বেত বাস আর শূন্য দু’হাত নয়নে অশ্রু ঝরে’..... শেষ হয়েছে এদুটি লাইন দিয়ে: ‘সুন্দর কর মহামহীয়ান কর এ বাংলাদেশ এই মুছিলাম অশ্রুর ধারা দুঃখের কেউ শেষ।’ কবিতাটি বেশ বড় কষ্ট থেকে আশায় ফিরে এসেছেন তিনি। ডায়েরী শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। শেষ বাক্যটি লিখেছেন, ‘১৯৭১ আজ শেষ হয়ে গেল। জানিনা, আগামী কালের দিন কিভাবে শুরু হবে।’ তিনি বিশাল প্রত্যাশায় তাকান নি আগামী দিনের দিকে। বরং খানিকটুকু দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতার ঊনচল্লিশ বছরে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে অনেক অপূর্ণতা এখনো রয়ে গেছে।

কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

The post একাত্তরের ডায়েরী appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন মনন ও সৃজনশীলতায় অগ্রগামী নারী। যে সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন, নিজের সহজাত জ্ঞান ও মেধা দিয়ে সেই সময়কে অতিক্রম করেছিলেন এগিয়ে থাকা মানুষের শাণিত বোধে। যে বয়সে মানুষের বিবেচনা ও অভিজ্ঞতার সঞ্চয় হয় সে বয়সে তাঁর সময়কে তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মানব কল্যাণের প্রয়োজনে। তাঁর রচিত ‘একাত্তরের ডায়েরী’ গ্রন্থ এই বিবেচনার সবটুকু প্রেরণা থেকে রচিত। ডায়েরির শুরু হয়ে ডিসেম্বর ৩০, ১৯৭০ তারিখে। শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। পুরো এক বছর সময়। তবে প্রতিদিনের প্রতিদিনের দিনলিপি নয়।মাঝে মাঝে কিন্তু কিছু তারিখ বাদ দিয়ে লিখেছেন।

১০৭০ সালের ১২ নভেম্বর ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। দুর্যোগে বিপর্যন্ত মানুষের হাতে রিলিফ সামগ্রী তুলে দিতে তিনি গিয়েছিলেন। পটুয়াখালির ধানখালি চর এলাকায়। রিলিফ দিয়ে ঢাকার ফিরলেন ৮ জানুয়ারি।

সত্তরের জলোচ্ছ্বোসের পরে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তানের সাধারন নির্বাচন। এই নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করেছিল আওয়ামী লীগ।পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান বাঙালি নেতার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করলেন। শেষ পর্যন্ত ১ মার্চ ১৯৭১ সালে গণপরিষদের অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। ১মার্চ, সোববার রাত দশটায় কবি লিখছেন, ‘বিক্ষুদ্ধ বাংলা।’ ভুট্ট্যো সাহেব পরিষদে যোগ দিবেন না সিন্ধান্তে পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি রইল। ১২টায় এ খবর প্রচারিত হওয়ায়, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেল। এভাবে বিভিন্ন তারিখে তিনি দেশের পরিস্থিতির কথা নানাভাবে বর্ণনা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের দলিল হিসেবে এই ডায়েরির তথ গবেষণার উপাদান হিসেবে কাজ করবে।ডায়েরির একটি বিশেষ দিক এই যে কোনো কোনো তারিখে তিনি শুধু একটি কবিতা লিখেছেন। একজন কবি এভাবেই নিজের প্রকাশ ঘটান। এপ্রিল ১, বৃহস্পতিবার। রাত আটটায় তিনি লেখাটি শেষ করেছেন এভাবে : ‘কারফিউ চলছে। প্লেনের আসা-যাওয়ার বিরাম নেই। কাল থেকে নাকি ব্যাঙ্ক সব খোলা হবে। আট আনায় তিনটি পান কিনলাম। বাংলার ইতিহাস কে রচনা করবে?’ শেষের বাক্যটি অন্য বাক্যগুলোর চেয়ে ভিন্ন। কিন্তু কোনোবাবেই এটি কোনো আকস্মিক বাক্য নয়।কারণ ২৫ শের রাতে গণহত্যার পরে শুরু হয়ে গেছে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হবে বাঙালির নতুন ইতিহাস। তিনি আহবান করছেন ইতিহাস রচয়িতাকে।এখানেই চিহ্নিত হয় তাঁর আগ্রগামী চিন্তার স্বরূপ। ডিসেম্বর ১৬, বৃহস্পতিবার লিখছেন, ‘আজ ১২ টায় বাংলাদেশ যুদ্ধ বিরতির পর মুক্তিফৌজ ঢাকার পথে পথে এসে আবার সোচ্চার হল ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণে। আল্লাহর কাছে শোকর।’

ডিসেম্বর ২৯ তারিখে একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি শুরু হয়েছে নিজের মেয়ের কথা দিয়ে লিখেছেন : ‘আমার ‘দুলু’র মুখ দেখি আজ বাংলার ঘরে ঘরে শ্বেত বাস আর শূন্য দু’হাত নয়নে অশ্রু ঝরে’….. শেষ হয়েছে এদুটি লাইন দিয়ে: ‘সুন্দর কর মহামহীয়ান কর এ বাংলাদেশ এই মুছিলাম অশ্রুর ধারা দুঃখের কেউ শেষ।’ কবিতাটি বেশ বড় কষ্ট থেকে আশায় ফিরে এসেছেন তিনি। ডায়েরী শেষ হয়েছে ডিসেম্বর ৩১, শুক্রবার। শেষ বাক্যটি লিখেছেন, ‘১৯৭১ আজ শেষ হয়ে গেল। জানিনা, আগামী কালের দিন কিভাবে শুরু হবে।’ তিনি বিশাল প্রত্যাশায় তাকান নি আগামী দিনের দিকে। বরং খানিকটুকু দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। স্বাধীনতার ঊনচল্লিশ বছরে তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশে অনেক অপূর্ণতা এখনো রয়ে গেছে।

কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন

The post একাত্তরের ডায়েরী appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
একাত্তরের দিনগুলি https://priyopathok.com/product/%e0%a6%8f%e0%a6%95%e0%a6%be%e0%a6%a4%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%b0%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a6%bf%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a7%81%e0%a6%b2%e0%a6%bf-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7836 ১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সঙ্গে জাহানারা ইমাম একাত্মতা ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মৃত্যু, দুঃস্বপ্নভরা বিভীষিকার মধ্যে তার ত্যাগ ও সতর্ক সক্রিয়তা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উদাহরণ হয়ে আছে। শহীদ রুমীর মা পরিণত হন শহীদ জননীতে। মুক্তিযুদ্ধে সন্তান বিয়োগের বেদনাবিধুর মাতৃহৃদয় এবং যাতনা মূর্ত হয়েছে তাঁকে কেন্দ্র করে।

গত শতকের নব্বই দশকে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির উত্থানে জনমনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় তার পটভূমিতে ১৯ জানুয়ারি ১৯৯২ সালে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হলে তিনি আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলন পরিচালনা করেন। তারই নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় গণআদালত।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য দিয়ে মানুষের মনোজগতে পৌছে দিয়েছেন তার অধীত জ্ঞান সম্ভার।

The post একাত্তরের দিনগুলি appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
১৯৭১ সালে বাঙালির স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সঙ্গে জাহানারা ইমাম একাত্মতা ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে মৃত্যু, দুঃস্বপ্নভরা বিভীষিকার মধ্যে তার ত্যাগ ও সতর্ক সক্রিয়তা দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উদাহরণ হয়ে আছে। শহীদ রুমীর মা পরিণত হন শহীদ জননীতে। মুক্তিযুদ্ধে সন্তান বিয়োগের বেদনাবিধুর মাতৃহৃদয় এবং যাতনা মূর্ত হয়েছে তাঁকে কেন্দ্র করে।

গত শতকের নব্বই দশকে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তির উত্থানে জনমনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয় তার পটভূমিতে ১৯ জানুয়ারি ১৯৯২ সালে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত হলে তিনি আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দেশব্যাপী ব্যাপক গণআন্দোলন পরিচালনা করেন। তারই নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে একাত্তরের ঘাতকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয় গণআদালত।

শহীদ জননী জাহানারা ইমাম সংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্য দিয়ে মানুষের মনোজগতে পৌছে দিয়েছেন তার অধীত জ্ঞান সম্ভার।

The post একাত্তরের দিনগুলি appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ – মুনতাসীর মামুন (সম্পাদক) https://priyopathok.com/product/%e0%a6%95%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%8b%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7-%e0%a6%95%e0%a7%8b%e0%a6%b7-%e0%a6%ae%e0%a7%81-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7837 কিশোর যুবা তো বটেই, যে কোন সচেতন বাঙালীর অবশ্যপাঠ্য একটি বই মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত 'কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ'। মুক্তিযুদ্ধের ৪০১ টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে এই বইতে। ৪৯৫ পৃষ্ঠার এই বিশাল বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সকল প্রয়োজনীয় তথ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে এই বইটির তুলনা নেই।

The post কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ – মুনতাসীর মামুন (সম্পাদক) appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
কিশোর যুবা তো বটেই, যে কোন সচেতন বাঙালীর অবশ্যপাঠ্য একটি বই মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত ‘কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ’। মুক্তিযুদ্ধের ৪০১ টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা সম্পর্কে বলা হয়েছে এই বইতে। ৪৯৫ পৃষ্ঠার এই বিশাল বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রায় সকল প্রয়োজনীয় তথ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানাতে এই বইটির তুলনা নেই।

The post কিশোর মুক্তিযুদ্ধ কোষ – মুনতাসীর মামুন (সম্পাদক) appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
মা (১০০তম বিশেষ মুদ্রণ) https://priyopathok.com/product/%e0%a6%ae%e0%a6%be-%e0%a7%a7%e0%a7%a6%e0%a7%a6%e0%a6%a4%e0%a6%ae-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%87%e0%a6%b7-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a3-106/ Wed, 04 May 2022 16:43:53 +0000 https://priyopathok.com/?post_type=product&p=7838 ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা উপন্যাস হিসেবে এবং মাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস হিসেবে আনিসুল হকের মা যে-কোনাে সময়ের একটি প্রধান উপন্যাসের মর্যাদা লাভ করবে বলে আমার মনে হয়।’

ড. আনিসুজ্জামান

লেখক আনিসুল হকের ‘মা’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত একটি উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ আজাদ ও তাঁর রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে লেখা এ উপন্যাস। ‘মা’ বইটি পড়ে যাঁর চোখের পানি ঝরেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যই কষ্টকর। নিজের অজান্তেই চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ে। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘মা’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা এক কালজয়ী উপন্যাস।

 

The post মা (১০০তম বিশেষ মুদ্রণ) appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>
‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা উপন্যাস হিসেবে এবং মাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস হিসেবে আনিসুল হকের মা যে-কোনাে সময়ের একটি প্রধান উপন্যাসের মর্যাদা লাভ করবে বলে আমার মনে হয়।’

ড. আনিসুজ্জামান

লেখক আনিসুল হকের ‘মা’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত একটি উপন্যাস। মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ আজাদ ও তাঁর রত্নগর্ভা মাকে নিয়ে লেখা এ উপন্যাস। ‘মা’ বইটি পড়ে যাঁর চোখের পানি ঝরেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যই কষ্টকর। নিজের অজান্তেই চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ে। কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকের ‘মা’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে লেখা এক কালজয়ী উপন্যাস।

 

The post মা (১০০তম বিশেষ মুদ্রণ) appeared first on প্রিয় পাঠক.

]]>