পারিবারিক নরবলি–এ দুটো শব্দেই নড়ে চড়ে বসতে হয়। খোদ কলকাতায় সেই নরবলির রীতি পালন করছে এক পরিবার। দেড়শো বছর ধরে এই রীতির খবর কেউ জানে না। মহারাজ প্রতাপ নারায়ণ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে এক রাতে করেছিলেন এরকম এক পাপ যার ফলে তার পরবর্তী বংশধরদের জীবনে নেমে আসে এক অমোঘ অন্ধকারের অভিশাপ–রক্ত গঙ্গা বইতে দিতে হয় প্রতি বছর।
ইতিহাসের প্রফেসর রাঘব নরবলির ইতিহাস নিয়ে কাজ করছেন বহু বছর ধরে। বহু গবেষণা তার করায়ত্ত, কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে কেউ কোনোদিন আগ্রহ প্রকাশ করেনি। নতুন বছরের ব্যাচে রাঘব পেলেন প্রিয় ছাত্র রিশানকে যে কার্য কারণে সেই একই বিষয়ের শিকার। শুরু হল খোঁজ। কিন্তু কীসের খোঁজ এ রকম এক বিষয় যে কাহিনী কেউ মনেই রাখতে পারে না অভিশাপের কারণে! রাজকীয় পূজা, তন্ত্রাচার, লোভ, অপশাসন, যৌনাচার, সাধন-ভজন, কী নেই এই কাহিনীতে! একে একে পেঁয়াজের খোসার মতো কাহিনী উন্মোচিত হতে থাকে। ঠিক যতটা উন্মোচন ততটাই ইতিহাসের অন্ধকারে হারিয়ে যেতে থাকে ‘চন্দ্রহাস’-এর চরিত্ররা। এর আদৌ কোনও তল পাওয়া যাবে কি?
সৌরভ চক্রবর্তী’র ‘চন্দ্রহাস’ উপন্যাসে উঠে এসেছে ইতিহাস, ধর্ম, অলৌকিকতা উর্ধ্বে উঠে গিয়ে এক অমানুষের রুদ্ধশ্বাস কাহিনী যা আমাদের ভিতটাকেই নাড়িয়ে দেবে।